মসুরের ডাল রান্নার পদ্ধতি

উপকরণঃ
১) ডাল এক কাপ
২) আদা বাটা ১ চা চামচ
৩) রসুন বাটা ১ চা চামচ
৪) পেঁয়াজ ৩-৪ টেবিল চামচ
৫) কাঁচা মরিচ  ১ চা চামচ
৬) হলুদ ১/২ চা চামচ
৭) শুকনা মরিচের গুড়া ১ চা চামচ
৮) ধনিয়া ১ চা চামচ
৯) লবন
১০) রসুন কুচি (optional) 

Courtesy: 3-am


রেসিপিঃ
প্রথমে একটা পাত্রে ডাল নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর হাঁড়িতে ডাল নিয়ে তাতে  পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা, হলুদ, শুকনা মরিচের গুড়া ও ধনিয়া দিতে হবে । বলে রাখা ভালো, দোকানে আদা-রসুন বাটার মিক্স পাওয়া যায়, আলাদা আদা বাটা আর রসুন বাটা না দিয়ে,  ওই মিক্সটা দিলেও হবে। সাথে পরিমাণ মত  পানি যুক্ত করে হাঁড়িতে করে চুলায় চাপিয়ে দিতে হবে । পানির পরিমাণ কতটুকু দিলে সবচেয়ে ভালো হবে সেটার জন্য দু-একবার ট্রায়াল এন্ড এরর করে দেখাটা ভালো। আমি কয়েকবার বেশি পানি দিয়ে ডালের স্বাদের ১২টা বাজিয়ে ফেলেছিলাম, এরপর আস্তে আস্তে হাতে চলে এসেছে। এককাপ ডালের জন্য প্রায় ৪-৬ কাপ পানি দিলে মনে হয় হয়ে যাবার কথা। এরপর  চুলার জ্বাল পুরোপুরি বাড়িয়ে দিয়ে বলক আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বলক এসে গেলে চুলার জ্বাল কমিয়ে (খুব কম নয়, মাঝামাঝি তাপে রাখলেই হবে) আরও ২-৩ ঘণ্টা ডাল সিদ্ধ করতে হবে। তবে ডালের তুলনায় পানির পরিমাণ কম হলে তলায় ধরে যাবার সম্ভবনা আছে, তাই একটু পর পর এসে দেখাটা ভালো। ডাল সিদ্ধ হয়ে আসলে কয়েকটা কাঁচা মরিচ আর লবন দিয়ে খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। চাইলে কিছু  ধনেপাতা দেওয়া যেতে পারে।

Courtesy: bethicad

এবার আরেকটা হাঁড়িতে খানিকটা তেল ও পেঁয়াজকুচি নিয়ে খানিকক্ষণ ভাজতে হবে, পেঁয়াজ মোটামুটি হয়ে গেলে রসুন দিয়ে আরও খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করতে হবে ( রসুন পরে দেওয়াটা ভালো, কারণ পেঁয়াজের সাথে রসুন দিলে রসুন আগে পুড়ে যায়) । তারপর সেটা ডালের মধ্যে দিয়ে বাগাড় (সহজ বাংলায় ডাল ঘুটনি দিয়ে দিবেন একটা ঘুউউটা !! ) দিতে হবে।
ব্যাস হয়ে গেলো মসুরের ডাল তৈরি।

Courtesy: thebriny

সময় বাচানোর টিপসঃ কারও ভাতের সাথে রেগুলার ডাল খাওয়ার অভ্যেস থাকলে, উপরের মতো ডাল সিদ্ধ করে (খালি সিদ্ধ করে, পেয়াজ-রসুন ভাজার আগ পর্যন্ত) বাটিতে করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারে। খাওয়ার আগে খালি পেয়াজ-রসুন দিয়ে বাগাড় দিয়ে নিলে একদম ফ্রেশ রান্না করা ডালের মতোই স্বাদ লাগবে।